কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

উখিয়ায় রাবার ড্যামের ফলে খুলছে কৃষকের সম্ভাবনার দ্বার

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা::
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগিলিয়া খালের ওপর রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে অনাবাদি জমিগুলো রূপান্তরিত হয়েছে আবাদিতে। সেচ সুবিধার আওতায় আসায় লাভবান হচ্ছে খালের দুই কুলের প্রায় ৬ শতাধিক কৃষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে রাবার ড্যাম প্রকল্প বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
এদিকে স্থাপিত রাবার ড্যামের আওতায় খালের দুপাড়ে কৃষি-মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এমনটি মনে করছেন স্থানীয় উপকারভোগী সদস্যরা।
উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের জামতলি, সিকদার বিল, ডিগিলিয়া ও দরগাহ বিল গ্রামের ৭ কিলোমিটার বেরিবাধ এলাকার ৫ শতাধিক কৃষকের ৩ শত ৫৭ হেক্টরে জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। গ্রামের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
সিকদার বিল গ্রামের কৃষক সিরাজুল বলেন, আমাদের জমিগুলো উর্বর হওয়া সত্ত্বেও সেচের অভাবে ইতিপূর্বে অনাবাদি ছিলো। রাবার ড্যাম নির্মাণ হওয়ায় বোরো ধান ও সবজি চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। কৃষিকার্যে চাহিদা অনুযায়ী নদী ও খাল থেকে পানি তুলে কৃষকেরা অনায়াসে জমিতে সেচ দিতে পারছেন। একই কথা বললেন, কৃষক আলী, আহমদ।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগিলিয়া খালের ওপর রাবার ড্যামটি নির্মিত হওয়ায় খালের পশ্চিম দিকে যত দূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি দেখা যায়।
পশ্চিম ডিগিলিয়া পানি ব্যবস্থাপানা সমবায় সমিতির সভাপতি জাহেদু ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, এ রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় ৬ শত একর অনাবাদী জমিতে বোরো চাষাবাদসহ শাকসবজি উৎপাদনের মাধ্যমে এলাকার কৃষকরা আত্মনির্ভরশীল। একই কথা বলেন পশ্চিম ডিগিলিয়া পানি ব্যবস্থাপানা সমবায় সমিতির সদস্য জিয়াউল হক রানা৷
উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জাকিরুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম ডিগিলিয়া রাবার ড্যাম সাব-প্রজেক্ট  প্রকল্পটি শুধু কৃষকদের ভাগ্যই বদলায়নি। ঐ এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশেও ভারসাম্য এনেছে।

পাঠকের মতামত: